Bright Sky

Writer :Shimanto Sarkar

নিশুতি রাত,  আর একটু পর মনে হয় ফজরের আযান হবে। সবাই ঘুমে মগ্ন। মাটির ঘরের জানালায় নিবু নিবু কুপি বাতিটা টিপ টিপ করে জলছে। কেরোসিনের তেল ফুরিয়ে আসার মতো অবস্থা। হাল্কা শিতল ঠান্ডা বাতাশ জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকছে। বাতাশের মিদু ধাক্কায় এই বুঝি কুপি বাতিটা নিভে যাবে। কিন্তু নিভছে না। টিপ টিপ করে সে তার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ক্ষনিক পরেই ও মা গো বলে মাঝ বয়সি এক মহিলার চিৎকার শোনা গেলো। পুরো থমথমে পরিবেশে ঘুমন্ত শরির গুলো একে একে জেগে উঠলো। এ যেনো শুকনো আকাশে ব্জ্রপাত হওয়ার মতো অবস্থা। কি হয়েছে?  কি হয়েছে? আওয়াজ করতে করতে একে একে সবাই ছুটে গেলো সেই মাটির ঘরের সামনে।


প্রসব ব্যাথ্যার যন্ত্রনা কাতরানো সেই মাঝ বয়সি মহিলার চিৎকার এতটাই করুণ ছিলো যে, যাহার মনে মায়া দয়া নেই সে ব্যক্তিও তাহার প্রতি দয়াবান হয়ে যাবে। সম্মুখের মহিলারা একে একে বলা বলি করছে বাচ্চা হবে মনে হয়। অভিজ্ঞ যে সকল মহিলা আছে যাহারা প্রসব করাতে জানে তাহারা একে একে ঘরে ঢুকতে থাকলো। আল্লাহ আল্লাহ স্বরে সবাই বাইরে থেকে আওয়াজ করে উঠলো। এদিকে ঘরে নিরুপায় গর্ভবতী মহিলা ব্যাথ্যা সহ্য করতে না পেরে জিবে দাত কামরাতে লাগলো। ক্ষণিক বাদের চিকন কান্নার আওয়াজে তাহার জন্ম হয়ে গেলো।বাড়ির সব চাইতে বয়ক্স মহিলা বাইরে এসে সবাইকে জানান দিলো ছেলে হয়েছে। 

ছেলে হয়েছে কথা শুনলে যে কোন পরিবারের সবাই খুশি হয়। কিন্তু এখানের পরিবেশ ভিন্নরূপ ধারণ করে আছে। মনে মনে অখুশি থাকা সত্তেও সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে শুকরিয়া জানান দিল।  কিন্তু মায়ের মনে সুখ নেই। সখ ছিলো বাচ্চাটা যেনো মেয়ে হয়, কেননা পূর্বেই তার ২ টা ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় সাধ করে ৩য় সন্তানটি যেনো মেয়ে হয় এই আশা নিয়ে  কত নামাজ রোজা দান খয়রাত করা হলো।  মাজারে সিন্নি,  মসজিদে মোমবাতি,  এতিম বাচ্চাদের খাওয়ানো আরও কত কি। প্রভু যাহা চান তাহাই হয়। নিসন্দেহে তিনি উত্তম পরিকল্পনাকারি। কে যানে গল্পের ধারা এই ৩য় পুত্র সন্তানকে ঘিরেই এগিয়ে যাবে,,,,,,,,,,,

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্কুলের দিনগুলি