পাহাড়ে কাটানো একটি রাত
পর্ব ঃ ০১

সামনে আমার এইচ এস সি পরীক্ষা। বেশ পড়ার চাপে কাটছে সময় গুলো। মানসিক অস্থিরতার মাজে সময় গুলো পার করা বেশ কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের মতো আমিও পরীক্ষা নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারণ সারা বছর কিছুই পড়া হয় নি। কোন বই ছেড়ে কোন বউ পড়বো তা ভেবে কুল পাচ্ছিলাম না। অবশেষে পরিক্ষার সময় ঘনিয়ে আসলো। আমি এডমিট কাড নেওয়ার জন্য কলেজে চলে গেলাম। কলেজ ছিলো আমার বাসা থেকে বেশ দূরে। জামালপুর জেলার মেলান্দহ সরকারি কলেজ। বেশ কাচা ছাত্র ছিলাম তাই নিজ জেলার আশেকমাহামুদে চান্স না পেয়ে মেলান্দহ উপজেলায় গিয়ে ভর্তি হতে হলো। 

কলেজ যাওয়ার জন্য সঙ্গী হিসেবে আমার মামাতো ছোট ভাইকে নিয়ে নিলাম। সে আমার চাইতে ২ বছরের ছোট। তবে আমি তার সাথে মিশুক। তাই বেশ কিছু যায়গায় আমি যখন ঘুরতে জেতাম সে প্রায় সময় আমার সঙ্গী হিসেবে যেতো। সে ভিজন জেদি, মামা বাইক কিনে দেবে না। কোন মতেই না। অনেক জগড়া রাগা রাগি করে মামাকে বাধ্য করলো পছন্দের বাইকটি কেনার জন্য।

অবশেষে কলেজ পথে যাত্রার জন্য আমাদের সাথে আরো দুজন যোগ দিল। আমার আরেক মামাতো ভাই আর তার বন্ধু। আমরা ৪ জন দুটো বাইকে কলেজ এর দিকে রউনা দিলাম। কলেজ এর কাজ শেষ হল  বেলা ১১ টায়। আমাদের কাছে পুরো দিনটিই পড়ে আছে। তাই আমরা ভেবে চিন্ত রউনা দিলাম লাউচাপড়া (জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল)। এটা ঠিক ভারত বাংলাদেশ এর সীমান্ত অঞ্চল। ওপাশে ভারতের মেঘলয় এর পাহাড় সমুহ আর হালকা কিছু ছোট ছোট পাহাড়ি অঞ্চল আমাদের বাংলাদেশে পড়েছে। গুগল ম্যাপ এ দেখলা বুজা জায় ভারত আমাদের কত টুকু ঠকিয়েছে। আর জাই হোক। লাউচাপড়ার যায়গায় কেউ একবার গেলে বার বার জেতে চাইবে। মায়াবি লেক। পাহাড়ী বন আর ছোট বড় ডিপির মাজে এক অপূর্ব অঞ্চল। 

ঢাকা থেকে ট্রেনে কিংবা বাস যোগে আসা যায় জামালপুর জেলায়। বেশ কিছু ঘুরার জায়গাও আছে এখানে। পাহাড় নদী সহ আরো অনেক জায়গা। জামালপুর এসে যে শেরপুর জেলার ভেতর দিয়ে কিংবা দেওয়ানগঞ্জ হয়ে আসা যায় লাউচাপড়ায়। বেশ সুন্দর জায়গা, আসার পর কেউ আফসোস করবে না। কেননা এখানে আশে সবুজের সোমারহ।

চলবে..................।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্কুলের দিনগুলি